চট্টগ্রাম, ১৫ মে (অনলাইনবার্তা): বিগত ১২ বছরে ২৭ হাজার ২৬৫ জন অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অকুপেশনাল সেইফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশন (ওশি)। এর মধ্যে স্ট্রোক করা, হৃদরোগ এবং পেশাগত দুর্ঘটনায় সর্বাধিক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
ঢাকা রিপোর্টর্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘অভিবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের পেশাগত নিরাপত্তা’ শীর্ষক সংলাপে এ তথ্য জানানো হয়। সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট বিভাগের প্রধান ও যুগ্ম–সচিব মো. আকরাম হোসেন।
আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন শ্রম অভিবাসন বিশ্লেষক হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সৈয়দা রোযানা রশীদ এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ডান চার্চ এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিনা হক।
শনিবারের (১৪ মে) এই অনুষ্ঠানে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক এ আর চৌধুরী রিপন।
যুগ্ম–সচিব আকরাম হোসেন বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে অবৈধভাবে অভিবাসন হওয়ায় অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক বন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
তিনি বাংলাদেশি নারী শ্রমিকদের ওপর যৌন নিপীড়নের অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ধরনের ঘটনা সরকার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে পারে।
প্রবাসে বাংলাদেশি শ্রমিকদের কল্যাণে বর্তমানে ২৮টি দেশে লেবার উইং কাজ করছে বলে জানান আকরাম হোসেন।
হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, যাদের দায়িত্বহীনতার কারণে অভিবাসী শ্রমিকদের স্বপ্ন ভঙ্গ হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সংলাপে অভিবাসী শ্রমিকদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ঝঁকিপূর্ণ কাজে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ নিরুৎসাহিত করা, বিদেশ গমনের পূর্বে ওরিয়েন্টেশন কোর্সে পেশাগত নিরাপত্তা বিষয়ে ধারণা প্রশিক্ষণ দেওয়া, স্বচ্ছভাবে হেলথ চেকআপ করা, পেশাগত দুর্ঘটনার ভিকটিমদের জন্য হেলপ লাইন চালু, বিদেশে বাংলাদেশি শ্রমিকদের পেশাগত দুর্ঘটনার তথ্য সংরক্ষণ এবং দুর্ঘটনা পরবর্তী সেবা নিশ্চিকরণের ক্ষেত্রে কূটনৈতিক মিশনগুলোর সক্রিয় ভূমিকা পালনের সুপারিশ করা হয়।