নিজস্ব প্রতিবেদক :
রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অর্থনৈতিক চুক্তি আগামী মাসে (ফেব্রুয়ারি) করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করলে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না বার বার এমন কথা উল্লেখ করে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক চাপের কোনো বিষয় এখানে আসবে না। দেশের প্রচলিত পরিবেশ আইন মেনে চললে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না।’
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনী মিলনায়তনে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ডার্টি কোর থেকে আধুনিক ক্লিন কোর ব্যবহার করা হবে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, যে সকল দেশ আজকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতা করছে তারা এক সময় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আজকের অবস্থানে (বর্তমান প্রযুক্তি) এসেছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ভুটান, নেপাল ও ভারত থেকে আগামীতে আরো ১০ হাজার মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারি কিনা এ বিষয়ে গত মাসে নেপালের বিদ্যুৎ মন্ত্রীর সাথে বৈঠক হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে নেপালে গিয়ে বিদ্যুৎ আনার চুক্তি করতে যাচ্ছি আমরা।
বাংলাদেশ সরকার অর্থ বিনিয়োগ করবে, নেপাল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। একই প্রস্তাব ভুটানকে দেওয়া হয়েছে। ত্রিদেশীয় চুক্তির মাধ্যমে ভারতের ভূমি ব্যবহার করে নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আনা হবে। ইতোমধ্যে ভারত এ বিষয়ে রাজি হয়েছে।
নেপাল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বাংলাদেশে আনতে ৫ থেকে ৭ বছর সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।
জ্বালানি তেলের দাম কমানোর ঘোষণা আসার পরও কেন কমানো হলো না এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম হঠাৎ বৃদ্ধির কারণে কমানোর সিদ্ধান্ত থেকে আমরা সরে আসতে বাধ্য হয়েছি। তবে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে তেলের দাম অবশ্যই কমানো হবে।
তিনি জানান, আগামীতে সাধারণ গ্রাহকরা আবেদন করলেই বিদ্যুতের সংযোগ পেয়ে যাবেন। বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য জমির পরচা লাগবে না বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া শিল্প কারখানায় বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদনের পর যত দ্রুত সম্ভব সংযোগ দেওয়া হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে কাজ চলছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোনামী। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা।
মুক্তা // এসএমএইচ // জানুয়ারি ২১, ২০১৭