চট্টগ্রাম, ২৩ মে (অনলাইনবার্তা): সম্প্রতি লাইটারেজ শ্রমিক ধর্মঘট, বেশি ড্রাফটের জাহাজে বেশি পরিমাণ কনটেইনার আনা, বাজেট ও রমজান উপলক্ষে ভোগ্যপণ্যের আমদানি বৃদ্ধি এবং ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অপারেশন বন্ধ থাকায় বন্দরের বহির্নোঙরে সৃষ্ট সাময়িক জাহাজ–জট নিরসনে দ্রুত উদ্যোগ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল।
রোববার (২২ মে) বন্দর ভবনে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
বিজিএমইএর প্রথম সহ–সভাপতি মঈনউদ্দিন আহমেদ মিন্টুর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিজিএমইএর পরিচালক এএম মাহাবুব চৌধুরী, বিজিএমইএর পোর্ট অ্যান্ড শিপিং বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য নূরুল আমিন প্রমুখ।
মঈনউদ্দিন আহমেদ মিন্টু বলেন, সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজ সমূহের অপেক্ষমাণ সময় বেড়ে যাচ্ছে, জেটিতে জাহাজের কনটেইনার ডিসচার্জিংসহ লোডিং–আনলোডিংয়ে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে। ফলে যথাসময়ে আমদানি পণ্য খালাস করতে না পেরে পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোরহের রপ্তানিতে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে পোশাক শিল্পের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হবে।
তিনি উদ্ভূত সমস্যা নিরসনে বেশি ড্রাফটের জাহাজ আগমন নিয়ন্ত্রণ, কনটেইনার হ্যান্ডলিং সংশ্লিষ্ট পর্যাপ্ত ইক্যুপমেন্ট স্থাপন ও জেটি সম্প্রসারণে দ্রুত ওভার ফ্লো ইয়ার্ড নির্মাণ কাজ শুরু করাসহ বেশি ড্রাফটের জাহাজগুলো থেকে কিছু কনটেইনার ডিসচার্জ করে জাহাজগুলোকে জেনারেল কার্গো বার্থে বার্থিং করা এবং এলসিএল পণ্য দ্রুত ডেলিভারির ব্যবস্থা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, উক্ত সমস্যা নিরসনে বন্দর কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাদের মতামত নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছে।
তিনি জাহাজ–জট দ্রুত নিরসন করা সম্ভব হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পোশাক শিল্পের আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পাদনে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন জেটির সম্প্রসারণ ও পর্যান্ত হ্যান্ডলিং ইক্যুপমেন্ট দ্রুত সংস্থান করা হবে মর্মে আশ্বস্ত করেন। পোশাক শিল্পের রপ্তানিতব্য মালামাল যথাসময়ে বন্দরের জেটিতে প্রেরণের জন্য বিজিএমইএর প্রতি অনুরোধও জানান তিনি।