চট্টগ্রাম, ২৩ মে (অনলাইনবার্তা): ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড বাঁশখালীকে আগামী দিনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
সোমবার (২৩ মে) সরেজমিন ঘূর্ণিদুর্গত খানখানাবাদ ইউনিয়ন ও বেড়িবাঁধ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকরা মুখোমুখি হলে তিনি এ আশ্বাস দেন।
এ সময় ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর কারণে বাঁশখালীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নিজের স্বচক্ষে না দেখলে বিষয়টি অনুধাবন করতে পারতাম না। আগামী দিনে যাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি না হয় সে লক্ষ্যে বাঁশখালীতে একটি স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করবে সরকার।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিদুর্গত মানুষ যত দিন ইচ্ছে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকতে পারবেন। এসব মানুষকে চাল, ডালসহ যতটা সম্ভব সরকার সহযোগিতা করবে। এ পর্যন্ত বাঁশখালীর জন্যে ৫০ মেট্রিক টন চাল ও দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
মন্ত্রী ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা ও ২০ কেজি করে চাল দেন।
পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী ডাকবাংলোয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন। এ সময় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিনও মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
শনিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক জানিয়েছিলেন, রোয়ানুর প্রভাবে বাঁশখালীতে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় ৭ জন পানিতে ভেসে মারা গেছেন। এছাড়া সীতাকুণ্ড উপজেলায় দুজনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে নগরীর হালিশহর এলাকায় চিংড়ির ঘেরে কাজ করতে গিয়ে পানিতে ভেসে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হওয়ার সংবাদ পেয়েছি। নগরীর শপিং কমপ্লেক্স এলাকায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি।
রোয়ানুর প্রভাবে আনোয়ারা, বাঁশখালী, সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপ উপজেলায় আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে। চারটি উপজেলায় মোট আনুমানিক ৫০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি ও ১০০ কোটি টাকার গবাদি পশু ও মৎস্য সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সন্দ্বীপ উপজেলায় ১৫ হাজার গবাদি পশু ভেসে গেছে। জেলার ৪৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।