ক্রীড়া ডেস্ক :
ইংল্যান্ড ওয়ানডে দলের অধিনায়ক ইয়ন মরগান যে বাংলাদেশ সফরে আসছেন না সেটি আগ থেকেই মোটামুটি নিশ্চিত ছিল। অবশেষে সেটিই বাস্তবে রূপ নিল। নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে আসন্ন বাংলাদেশ সফর থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলেন মরগান। ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স হেলসও নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার জের ধরে ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর নিয়ে শঙ্কা কাজ করছিল। তবে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) নিরাপত্তা দল বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। যদিও তাতে আশ্বস্ত হতে পারেননি মরগান।
মরগান নাম প্রত্যাহার করে নেয়ায় ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ক জস বাটলার আসন্ন বাংলাদেশ সফরে ইংল্যান্ড দলকে নেতৃত্ব দেবেন। টেস্টে যথারীতি অধিনায়ক থাকছেন অ্যালেস্টার কুক। বাংলাদেশ সিরিজকে সামনে রেখে আগামী শুক্রবার ওয়ানডে ও টেস্টের জন্য পৃথক দল ঘোষণা করবে ইসিবি।
মূলত উপমহাদেশে আগের দুটি সফরের তিক্ত অভিজ্ঞতাই মরগানকে বাংলাদেশ সফর থেকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার আশ্বাস দেয়ার পরও মরগান এই সফর থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয়ায় ইসিবি তার ওপর নাখোশ বলে বেশ কয়েকটি ব্রিটিশ মিডিয়া দাবি করছে।
২০১০ সালে আইপিএল খেলার সময় উপমহাদেশে মরগানের তিক্ত অভিজ্ঞতার শুরু। সেবার বেঙ্গালুরুতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলেন তিনি। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচের আগে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে দুটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। গুরুতর কোনো ক্ষতি না হলেও ম্যাচ শেষে সোজা বিমানবন্দরের পথ ধরেছিলেন মরগান। সেই ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ঠিকঠাকভাবে হলেও মরগানের মনে গভীর ছাপ রেখে গেছে।
দ্বিতীয় অভিজ্ঞতাটি হয় বাংলাদেশেই। ইংলিশদের ওয়ানডে অধিনায়ক ২০১৩ সালে প্রিমিয়ার ডিভিশনে গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্সের হয়ে ৫টি ম্যাচে খেলে গেছেন। তখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছিল উত্তপ্ত। পেট্রল বোমার বিভীষিকাময় আতঙ্কে তখন দেশ। সেই অভিজ্ঞতাও ভাবাচ্ছে মরগানকে। যে কারণে বাংলাদেশ সফর থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলেন তিনি।
বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা শেষে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের দুই বোলার তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানি। রোববার রাত ১১টার দিকে ঢাকায় পৌঁছান তারা।
আরডি/ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬।