চট্টগ্রাম, ৭ মে (অনলাইনবার্তা): গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে ‘হোম–অ্যাওয়ে’ দু’টি ম্যাচেই জিতল মুস্তাফিজুর রহমানের সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। বরাবরের মতোই মুস্তাফিজের বোলিং নৈপুণ্যের সঙ্গে ভুবনেশ্বর–নেহরার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ছয় উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৬ রানের পুঁজি দাঁড় করায় সুরেশ রায়নার গুজরাট। জবাবে এক ওভার ও পাঁচ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সানরাইজার্স।
টুর্নামেন্টে প্রথম দেখায় (২১ এপ্রিল) গুজরাটের মাঠেই গুজরাটকে দশ উইকেটে হারের লজ্জায় ডোবায় হায়দ্রবাদ। এবার ৬ মে’র ফিরতি ম্যাচেও টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ডেভিড ওয়ার্নার। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানই দেন মুস্তাফিজরা। নিজেদের ইনিংসে আগের ম্যাচের ১৩৫ রানও যে টপকাতে পারেননি গুজরাটের ব্যাটসম্যানরা।
হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে স্কোরবোর্ডে মাত্র ১২৬ রান তুলতে সমর্থ হয় পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানধারীরা। চার ওভারে ১৭ রানের বিনিময়ে দু’টি উইকেট নিয়ে উইকেট প্রাপ্তির তালিকায় দুই অঙ্কের ঘরে প্রবেশ করেন ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজ। আইপিএলে এবারের আসরে মুস্তাফিজই একমাত্র বোলার যিনি কোনো ম্যাচে তিন উইকেট না নিয়েও ১০ বা তার বেশি উইকেট লাভ করেছেন।
সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ৩৩ রানের মধ্যে দারুণ ফর্মে থাকা ডেভিড ওয়ার্নার (২৪) ও কেন উইলিয়ামসনের (৬) উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপের মুখে পড়ে সানরাইজার্স। ইনজুরি কাটিয়ে এবারের আসরে প্রথমবারের মতো মাঠে নেমে ‘টেস্টসুলভ’ ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন যুবরাজ সিং (১৪ বলে ৫)। তবে দলের হাল ধরেন ওপেনার শিখর ধাওয়ান।
ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন ধাওয়ান। তার ৪০ বলে ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে ছিল ছয়টি চারের মার। এছাড়া ময়েজেস হেনরিকস ১৪ ও দিপক হুদার ব্যাট থেকে আসে ১৮।