শরীয়তপুর প্রতিনিধি :
শরীয়তপুরে প্রতিদিনই বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে প্লাবিত হচ্ছ নতুন নতুন এলাকা। লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধদের। মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে গবাদি পশু নিয়েও। জেলার সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মার পানি আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুর সদর, জাজিরা, নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ এবং গোসাইরহাট উপজেলার ৩০টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসন বলছে কিছু নগদ টাকা ও ত্রাণ সামগ্রী এসে পৌঁছেছে। বন্যা ও নদী ভাঙনকবলিত পাঁচ হাজার ৬০০ পরিবারের মধ্যে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে, গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে জাজিরায় ২০০ পরিবারের মাঝে ৫০০ করে নগদ টাকা এবং ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। বানের পানির সঙ্গে প্রবল বর্ষণের কারণে শরীয়তপুর জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা, মেঘনা, কীর্তিনাশা এবং আড়িয়াল খাঁ নদের পানি অব্যাহত গতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতিদিনই বন্যার পানি ঢুকে পড়ছে নতুন নতুন এলাকায়। বন্যাকবলিত এলাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
আরডি/ এসএমএইচ // ৩ আগস্ট ২০১৬।